62nD pOsT : মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় এবং আষিকের কথাবাত্রা


''তার উদাসীনতা কতকটা
এজমালি কলতলায় পুরুষের স্নান ।

এ শহর বোঝে -
কীভাবে উপমা দিতে হয়
কীভাবে নির্লিপ্তি আসে
উপশম হয়ে...''



মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
এটা কার লেখা ?

আষিক :
আমার বলতে পারেন ।
আবার শহর কলকাতা নিজেই এই কবিতা লিখেছে সেভাবেও ভাবা যায় ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
আরে আমাকে আপনি সম্বোধন করে বলতে হবে না


আষিক :
তাহলে তুই-ই বলছি

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
হ্যাঁ নিশ্চয়ই
এই কবিতা নিয়ে আমার কটা কথা আছে
কবিতার নাম কলকাতা

আষিক :
হ্যাঁ
...

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
কিন্তু এই কবিতা কলকাতার কোন দিকটা বা কোন চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলছে? আরো একটু পরিস্কার করে বলতে গেলে - যখন বলছ কলকাতাই এই কবিতা লিখেছে তাহালে তার এই লেখা পড়ে তুমি কলকাতা কে কি ভাবে দেখছ
?
শুধুমাত্র এই লেখার মধ্যে দিয়ে

আষিক :
ভালো প্রশ্ন । উত্তরের প্রথমে বলে রাখি - এই কবিতা প্রায় এক বছর আগে লেখা, তখন আমি একটি উপন্যাসের প্রস্তুতিবাবদ স্বেচ্ছা অবসরে কল্যাণীতে দিন কাটাচ্ছি ।
সেই সময়ে, সেই মুহুর্তে কীভাবে কবিতাটি আমার কাছে এসেছিল, আজ কলকাতা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বসে সেই অনুভূতিকে 'রিক্রিয়েট' করা দুরূহ কাজ ।
এখানে এখন কবি আমির সঙ্গে পাঠক আমিও চলে এসেছে ।
তবে এই কবিতা যেদিন লেখা সেইদিন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আমার ল্যাপটপ চুরি যায়।
তাতে আমার উপন্যাসের প্রায় পঞ্চাশ পাতা, আর একবছরের তোলা যাবতীয় ফোটোগ্রাফির কাজ ছিল ।
বিরাট স্টেশনে সেইদিন যখন আমি পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছি, একটি আস্ত শহর সেখানে ট্রেন ধরবার জন্য ব্যস্ত totally oblivious to what I was going though

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তারপর?

আষিক :
সেই মুহুর্তে গোটা ঘটনাটি আমার কাছে খুব প্রতীকি মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল, এভাবেই আমাদের চারপাশের মানুষজনের অর্ধেক উপন্যাস হারিয়ে যাচ্ছে, প্রিয় মুহুর্ত হারিয়ে যাচ্ছে, অথচ আমরা কেউ কিচ্ছু জানতে পারছি না ।
এই indifference বোধহয় বড়ো শহরের একান্ত নিজস্ব । এত মানুষ, এত এত মানুষ নিজের উপন্যাসে মশগুল, আমাদের সময় নেই অন্য কিছু ভাবার । অন্য কারোর কথা ভাবার । সেই থেকেই এই নামকরণ
বোঝাতে পারলাম কি?

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
আর সেই উপন্যাসের কি হল ? শূণ্য থেকে শুরু করছো আর?

আষিক :
না না । অনেকটাই ব্যাক আপ রাখা ছিল । আর সেই পঞ্চাশ পাতা আবার স্মৃতি থেকে উদ্ধার করেছি । তবে উপন্যাসের জন্য তোলা অনেক ছবি আর ফিরে পাইনি ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তাহালে সেদিনের ঘটনা থেকে তোমার কি মনে হয়েছিল হারালে কিছু না পেলে ?

আষিক :
বলা শক্ত । উপলব্ধি সবসময়ই বিরাট প্রাপ্তি ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তুমি ল্যাপটপ্ হারালে জরুরি ছবি হারালে। আবার একটা কবিতা পেলে। শহরের একটা নতুন চরিত্র জানলে। তাই চাওয়া পাওয়ার পাল্লাটাকোন দিকে ঝুঁকলো বুঝতে চাইছিলাম।

আষিক :
সেটা আমিও বুঝতে পারছি না , এই মুহুর্তে বলব পাওয়াটাই বেশী ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :

তোমার শহর কি কলকাতাই ?

আষিক :
কলকাতা থেকে ৬০ কিমি দূরের একটি নিরিবিলি, ছিমছাম শহর কল্যানীতে বড়ো হয়েছি । কলকাতায় পাকাপাকিভাবে থাকার সুযোগ হয়নি কখনও, তবে যাতায়াত তো লেগেই থাকে । বড়ো শহরে থাকার flavor পেয়েছি ভ্যাঙ্ক্যুভার, সিয়াটেল আর পিটসবার্গ থাকাকালীন।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
এই শহর গুলোতে কবিতা নিয়ে পাগলামি দেখেছো কলকাতার মতো?

আষিক :
না । যদিও একটা শহরের চরিত্র সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যতটা ঘনিষ্ঠতা থাকা উচি, ততটা আমার ছিল না, তাও বলব, কলকাতার মত কবিতা নিয়ে পাগলামি দেখিনি ।
তবে প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে কবিতাপ্রেমের বহু উদাহরণ পেয়েছি ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
কি রকম ?

আষিক :
বহু মানুষ দেখেছি কবিতা আলোচনা করতে গিয়ে -- তারা হয় তো এক বইমেলা পিছিয়ে রয়েছে । ডিসেম্মরে গিয়ে গত জানুয়ারীর বইমেলার সঙ্গে তাদের দেখা হবে, কিন্তু নতুন কাজের সম্পর্কে তারা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তাহালে বলছো কলকাতা থেকে কবিতাও পাড়ি জমায় বিদেশে?

আষিক :
নিশ্চয় । ঠিক এই মুহুর্তে আমার অফিসের বইয়ের র‍্যাকে মিলন কুন্দেরা, জে এম কোয়েটজি, অরহান পামুকের পাশে ভাস্কর চক্রবর্তী, রণজি দাশকে দেখতে পাচ্ছি ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
বাইরে যে ঘুরেছ সেখানকার কোন কবির সাথে আলাপ হয়েছে কখনো?

আষিক :
গ্র্যামিবিজয়ী গীতিকার এণ্ডার্স ওল্যান্ডের সঙ্গে আলাপ হয়েছে । তার সঙ্গে একটি অলটারনেটিভ রক পারফরম্যান্সে গীটারে সঙ্গতও করেছিলাম । আর আর্যনীল দাকে কোথাকার কবি বলবি?

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
বাংলার

আষিক :
বেশ, তবে আর কারোর সঙ্গে সেভাবে আলাপ হয়নি ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
প্রথম কবিতা এসেছিল  কি ভাবে মনে আছে ?

আষিক :
হ্যাঁ । তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি । কবিতার নাম ছিল 'পৃথিবীটা ঘুরছে' আর বিষয় ছিল পৃথিবীর সামগ্রিক ঔদাসীন্য । লেখা একেবারেই পরিণত তখনও ছিল না, এখনও হয়নি , তবে মনে হয় ছোটোখাটো টুকিটাকি জিনিস তখন থেকেই চোখে ধরা দিতে শুরু করে ।
প্রথম গান লিখি ক্লাস নাইনে ।
তার প্রথম দুটো লাইন -
সুতানুটি গ্রামটাকে তোলপাড় করে ফেলি
রোজ রোজ ঠিকনা খোঁজার খেলা খেলি
এসব অনেক পুরোনো কথা ।
এসব আগামীকাল ঘটেছিল!!


মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
মানে কোন কারণ ছিল, গল্প ছিল ?
হঠা কেন মনে হল কবিতা লিখি ?

আষিক :
আমার দুই দিদি আর এক পিসতুতো দাদা, আমরা চার জন মিলে বাড়ির জন্মদিন উদযাপন করতাম। সেখানে থাকত আমাদের নিজেদের লেখা গান, নিজেদের লেখা নাটক, পুতুলনাচ । বয়েসে সবার থেকে ছোট হওয়ায়, এই সব creative endeavor-এ আমি সবসময়ই একটু কম গুরুত্বপূর্ণ রোল পেতাম ।
তাই কোথাও নিজের ভেতরে দিদির মতো কবিতা লিখব, দাদার মতো নাটক লিখব - এই সব ইচ্ছা থেকেই বোধহয় কবিতা লেখার তাগিদ অনুভব করেছিলাম ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তখন কি কবিতা পড়া শুরু করেছ মানে পাঠ্যবইয়ের বাইরে

আষিক :
তখন পড়া বলতে সুকুমার রায়  । যদিও এখন মনে হয় সুকুমার রায় কেবল বাচ্চাদে্র জন্য লেখেননি, উনার সেই কবিতা যাতে শেষ conclusion "আমি তবে কেউ নই" একটি নিখাদ identity crisis-এর কবিতা ।
শেষ conclusion = conclusion

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তারপর বাঁক এলো কবে?

আষিক :
ভ্যাঙ্কুভার থাকাকালীন । এর আগে গান লিখতাম নিয়মিত । মাঝে একটা দীর্ঘসময় আমি কবিতা চর্চা করিনি । একটা সময় বোধ হয় এটাও মনে হত যে লিখবার মতো আমার বিশেষ কিছু নেই । ভ্যাঙ্কুভার আমার জীবনে প্রথম প্রবাস । সেই প্রবাসে এসে অরকূটের কিছু কমিনিউটিতে লেখা শুরু করি । সঙ্গে সঙ্গে পড়াও । তুইও তো ছন্দবাণীতে লিখতিস!! তারপর একে একে লেখার সঙ্গে সঙ্গে এল আরও আরও পড়া । যদিও সাহিত্যের এই বিশালতা-র সামনে দাঁড়িয়ে বড়ো helpless লাগে, একশোটা জীবনও যথেষ্ট নয় মনে হয় পড়বার জন্য ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
মানে আগে কবি তারপর পাঠক ?

আষিক :
কতকটা তাই , এভাবেই এটা ঘটেছে আমার জীবনে । যদিও আমি এটা সমর্থন করি না । এবং এখন তাই পড়ার পিছনে অনেক বেশি সময় দিই ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
কবি না কবিতা ? কিভাবে পড় ?

আষিক :
কবিতা । বাংলার অনলাইন ম্যাগাজিনগুলো, লিটল ম্যাগাজিনগুলোয় চোখ রাখলে বোঝা যাবে কত অসংখ্য ভালো লেখার ছড়াছড়ি! তাই কবিতাই পড়তে ভালোবাসি ।
তবে ব্যক্তিগতভাবে দু'জন কবি - ভাস্কর চক্রবর্তী আর রণজি দাশ - এদের দু'জনের ক্ষেত্রে কবি আর কবিতা মিলেমিশে এক হয়ে গেছে আমার কাছে ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
কবিতা নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা র পক্ষে ?

আষিক :
হ্যাঁ । In fact যে কোনও আর্ট ফর্ম নিয়েই পরীক্ষা নিরিক্ষা-র পক্ষে ।
গবেষণার কাজে যুক্ত আছি, তাই এই মতাদর্শী হওয়া আমার কাছে আরও সহজ ও স্বাভাবিক ।
বাক যেভাবে বিভিন্ন experimental লেখাকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তার জন্য বাক-কে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ


মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
আচ্ছা ভাস্কর চক্রবর্তী রণজিত দাস এরাই কেন ?
কখনো কি নিজেকে প্রশ্ন করেছ?

আষিক :
রনজি দাশের লেখার মধ্যে একটা অদ্ভুত objectivity রয়েছে যেটা আমাকে খুব টানে । আর ভাস্কর চক্রবর্তীর লেখা বড়ো সহজ অথচ গভীর । খুব গভীর কোনও চিন্তাকে খুব সহজে উপস্থাপনা করলে মনে বড়ো দাগ কেটে যায় । এই একই কারণে ইরানী চলচ্চিত্র পরিচালক আসগার ফারহাদী আমার একান্ত প্রিয়আবার বেলা টার খুবই ভালো লাগে উনার অদ্ভুত মিনিম্যালিজমের প্রয়োগের জন্য - একেক জন শিল্পীকে ভালো লেগে যাওয়ার একেক কারণ, কখনও তো আবার কোনও কারণ ছাড়াই ভালো লেগে যায়! তোরও নিশ্চয়ই এরকম হয়েছে, তাই না?


মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
কিন্তু এদের কবিতায় কি তুমি সেরকম পরীক্ষা নিরিক্ষা পেয়েছ?

আষিক :
সে অর্থে পাইনি । ফর্ম নিয়ে সে রকম পরীক্ষা নিরিক্ষা নিশ্চয়ই পাইনি, কিন্তু কন্টেন্ট নিয়ে পেয়েছি । এই ব্যাপারে তোর কী মত ?

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
আমি এখানে এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। যেহেতু এখানে যে ভূমিকা পালন করছি তাতে অপর জনের মতটা তুলে ধরাই আমার কাজ।

আষিক :
বেশ

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তাহালে পরীক্ষা নিরিক্ষা বা ধর একটা চলে আসা ধারা থেকে সম্পূর্ণ একটা নতুন ধারা এদের কবিতায় কি এসেছে?

আষিক :
এ ব্যাপারে মতামত দেওয়ার মতো যথেষ্ট qualified নই আমি । আমাকে আরও অনেক পড়াশোনা করতে হবে এই বিষয়ে কিছু বলতে গেলে ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
আসলে এটা জানতে চাইলাম এ কারণে কবিতাইয় নতুন ধারা আনার প্রয়োজন কেন - এটা বুঝতে

আষিক :
নতুন ধারা তার নিজস্ব প্রয়োজনে আসে বলে আমার মনে হয় । আমি কিছু একটা বলতে চাইছি, আর যেভাবে বলছি সেটা নিজেরই মনঃপূত হচ্ছে না । অথবা এমন কিছু বলতে চাইছি যার কোনও reference পাচ্ছি না অথচ বলা ভীষণ জরুরী হয়ে পড়েছে। এই নিরন্তর struggle থেকেই আমার মনে জন্ম নেয় নতুনতর ধারা ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
এক্ষেত্রে তাহালে তাগিদটা আসএল কিসের ?

আষিক :
নিজেকে প্রকাশ করার । ভাষা যেই তাগিদ থেকে জন্ম নিয়েছে, শিল্প সাহিত্যের নতুন ধারাও সেই তাগিদ থেকেই জন্ম নেয় বলে আমার মনে হয় ।
আমাদের শিল্পচেতনাকে সমসাময়িক শিল্পীরাও আকৃতি দিচ্ছেন । এই প্রসঙ্গে আমি দেব বলিউড-এর ফিল্ম সঙ্গীতে এ আর রহমানের উদাহরণ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
তার মানে শুধু মাত্র নতুন কিছু করব বলে নতুন কিছু নয়

আষিক :
নতুন কিছু করবার এই নিরন্তর তাগিদ তো আমাদের সবার মধ্যে ।
কিন্তু সেই তাগিদ থেকে সৃষ্ট শিল্প সামগ্রিক ভাবে নতুন হচ্ছে কি না সেটা নির্ভর করছে শিল্পী অন্যান্য কাজ সম্পর্কে কতটা ওয়াকিফ তার ওপর ।
কেবলমাত্র নতুন কিছু করব বলেই নতুন কিছু করার চেষ্টাকেও আমি সাধুবাদ জানাব ।

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
ধর একটা গন্তব্য তাতে পৌছনোর তোমার জানা একটাই পথ । তুমি সেই পথটা দিয়েই হেঁটে যাবে নাকি নতুন পথ খোঁজার চেষ্টা করবে?

আষিক :
এ তো কম্পিউটার সায়েন্স এর ক্লাসিক multi-armed bandit problem!! আমি সেই পথটা দিয়ে হেঁটে যাওয়া আর নতুন পথ খোঁজার মধ্যে একটা balance খুঁজবার চেষ্টা করব

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
এটা একটু জটিল উত্তর হয়ে গেলো না। যারা কম্পিউটার জানে না তাদের পক্ষে বোঝা মুশকিল

আষিক :
উইকিপিডিয়া থেকে - In probability theory, the multi-armed bandit problem is the problem a gambler faces at a row of slot machines when deciding which machines to play, how many times to play each machine and in which order to play them. When played, each machine provides a random reward from a distribution specific to that machine. The objective of the gambler is to maximize the sum of rewards earned through a sequence of lever pulls.

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
হা হা হা
তোমার এই উত্তর দেখে আমার একটা মজার জিনিস মাথায় এলো
ধর কেউ এরকম একটা কবিতা লিখল

আষিক :
কী?

মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় :
void চাঁদ
printf অনন্ত কুয়ো
এখন void আর printf কি যদি তাকে পড়ে বুঝতে হয়
...

আষিক :
হা হা হা
কিন্তু ধর আমরা যে এত রেফারেন্স ব্যবহার করি লেখার ক্ষেত্রে । এটাকেও তো এক ধরণের রেফারেন্স হিসেবে ধরতে পারি, তাই না?
ব্যক্তিগত ভাবে এই কবিতাটা আমার বেশ ভালোই লাগবে । কবিতার প্রয়োজনে void আর printf টুকু বুঝে নেব ।
Dogville বলে একটি ছবি দেখেছিলাম, বন্ধুদের সাথে । সেখানে বেশ কিছু Biblical রেফারেন্স ছিল ।
বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে সেগুলো বুঝে নিয়ে সিনেমাটা থেকে আরও বেশী আনন্দলাভ করেছিলাম । শিল্প যদি পাঠক, দর্শক কে আরও শিক্ষিত হতে বলে, ভালোই তো!