লেখা শুরু: ২০০৬
হবি: ফুটবল, টিটি, সিনেমা, গীটার, স্কেচ ড্রয়িং.... অনেক বড় লিস্ট
বড় হওয়াঃ কলকাতা
পদার্থবিদ্যায়
গবেষণা করেন।
জন্ম তারিখ: ১০
নভেম্বর, ১৯৮৬
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
কার কবিতা পড়বে না ?
অংশুমানঃ
পারলে তো সবার
কবিতাই পড়ি, কিন্তু হয়না। হয় যোগাড়
হয়না নাহয় সময় হয়না। এখনো সিলেক্ট করে পড়তে চাইনা, মগজ অতো বুড়ো হয়নি।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
না তা বলিনি , বলেছি
কার কবিতা তুমি হাতের কাছে পেলেও পড়বে না
অংশুমানঃ
নিজের বিচারবুদ্ধি ও
মনস্কতায় যদি কারোর দীর্ঘদিন ধরে পড়ার পরেও না ভালো লেগে থাকে। তাহলে হয়তো ছিটকানি
কাজ করতে পার। কিন্ত তাও পড়ে ফেলতেও পারি।
মানে যদি কিছু পাই
তার আশায়।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
সেরকম কারোর
ক্ষেত্রে হয়েছে ?
অংশুমানঃ
যারা কবিতা লিখে নাম
করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় হতাশা এসছে। আবার নতুনরাও চমকে দিয়েছে। তাই চরম
বিচারে যাইনি এখনো। যাওয়াটাও খুব একটা স্বাস্থ্যকর হবে না।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
নতুনদের মধ্যে কার
কবিতা ভালো লাগছে ?
অংশুমানঃ
ঋপন, ভাস্করজ্যোতি এদের আমি ফ্যান, সরোজ দরবার, সুপ্রভাত রায়, অনিন্দ্য সুন্দর রায়, সম্বিত বসু, নবেন্দু বিকাশ রায় এদের ভালো লাগে। আরো নাম আছে ভালো
লাগার লিস্টে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
নিজের কবিতা ভালো
লাগে না ?
অংশুমানঃ
সব না। কিছু ভালো
লাগে কিছু খারাপ। যদি নিরপেক্ষ বিচার করি।
নতুন কবিদের লিস্টে
ঋপনের নাম টা ঢোকানো কতটা উচিত হল জানিনা। কারণ আমি যখন খুব বাজে কবিতা লিখতাম
তখনও ঋপনের ফ্যান ছিলাম। ও অনেক দিন ধরে কবিতা লিখছে। হয়তো তরুন আর নতুন গুলিয়ে
ফেলেছি। তবে ওর নামটা বলে খুশি হয়েছি খুব।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
তাহালে ক'টা লাইন বলো এই প্রিয় কবিদের
তোমার ভালোলাগা কিছু
লাইন এই প্রিয়দের
অংশুমানঃ
"মাঝে মধ্যে একেকদিন
আমাদের বাড়িতে শান্তি থাকে
আমার ভালো লাগে না-
শান্তি থাকলে বাবা থাকেনা"- ভাস্করজ্যোতি দাস।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
এই লাইন টাই মনে এলো
কেন?
অংশুমানঃ
ফুল দিতে পারিনি,
হলুদ ফুল
আসলে ফুলের আশেপাশে
এমন সব অনুভূতি আছে
যার এখনো শব্দ তৈরী
হয়নি"- ঋপন আর্য
অংশুমানঃ
এই লাইন গুলো এতটাই
গভীর যে মনে রাখার তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই, এর মুগ্ধতা এতটাই বেশি যে এই সব কবিদের নাম আমার কাছে এই লাইনগুলোও নিয়ে আসে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
না আমি বলতে চাইলাম
এই লাইনগুলোই কেন এই মুহূর্তে মনে এলো
নিশ্চয়ই এদের এই
লাইন কটিই তোমার ভালো লেগেছহে এমন নয়
অংশুমানঃ
কবির সাথে, কবির কবিতার সাথে আর নিজের সাথে মিশে আছে। থাকবে
সারা জীবন।
না শুধু এই দুটো
লাইন লিখে আমার কাছে তার প্রিয় হয়েছে এমন নয়। হয়তো এইগুলো আমার কাছে তাদের
সিগনেতার হয়ে আছে। আরো এরকম লাইন আছে।
*সিগনেচার
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
এরকম কি হয় না কোন
বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ কোন লাইন চলে আসে?
অংশুমানঃ
হ্যাঁ এরকমও হয়।
হামেশাই।
সবসময়ই হয় নিজের
অথবা অন্যের কবিতার লাইন মাথায় ঘোরে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা ধর কেউ বলল
তোমার কবিতাটা কিছুই হয় নি। তোমার কোন বুদ্ধিই নেই
তোমার কি মনে হয়েছে ?
অংশুমানঃ
কোনো বোকা মানুষই
এরকম বলতে পারে বলে আমার ধারণা।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আর কি বলেছ তাকে ?
অংশুমানঃ
কবিতা ভালো নাই
লাগতে পারে। তার সাথে আমার বুদ্ধিমত্তার কোনো সম্পর্ক নেই। আর আমার বুদ্ধিমত্তা
টেস্ট করার জন্য আই-কিউ টেস্ট করানো যেতে পারে। কিন্তু কোনো মানুষের সৃষ্টি দেখে
এইসব চরম জাজমেন্টে যাওয়া নেহাৎ-ই বোকামি। অথবা সে স্বাভাবিক অবস্থায় সে মন্তব্য
করছেনা।
অংশুমানঃ
হ্যাঁ এরকম আমাকে
বলেছেন কেউ। তাকে বলেছি, আমি বুদ্ধিমান নাই হতে পারি।কিন্তু,
আপনার মনস্কতা,
বোধ, বিচার ইত্যাদির উপর আমার বিশেষ শ্রদ্ধা এলো না।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
সে কি নিজে
সাহিত্যের জগতে আছে ?
অংশুমানঃ
হ্যাঁ আছেন।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা!
অংশুমানঃ
আর ওখানেই তো সবথেকে
বড় ধাক্কাটা।না জেনে বুঝে কেউ বললে তাকে উত্তরই দিতাম না। স্মাইলি দিতাম।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা
প্রসঙ্গ পাল্টাই
বেশি বিতর্কে টি আর পি বাড়তে পারে। আলোচনাটা সুখ দায়োক হবে না
অংশুমানঃ
হ্যাঁ পাল্টে ফেলো।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
তুমি তো একটা
ম্যাগাজিনের সম্পাদনা কর।
সম্পাদক আর
সাহিত্যিক দু জনের মধ্যে আলাদা কিছু আছে ?
অংশুমানঃ
হ্যাঁ এখনো বলা যায়
চেষ্টা করি। সম্পাদনার সম্পূর্ণটা আমার এখনো শেখা হয়ে ওঠেনি।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
হ্যাঁ
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
সম্পাদক আর
সাহিত্যিক দু জনের মধ্যে আলাদা কিছু আছে ?
অংশুমানঃ
সাহিত্যিকের কাজ
সাহিত্য সৃষ্টি। সম্পাদকের কাজ সেটার মুল্যায়ন। যদিও লেখা পাল্টানোটা সম্পাদকের
অধিকারের মধ্যে পড়ে কিন্তু তা খুব আনএথিক্যাল।
সাহিত্যিক
ভার্সাটাইল নাহলেও চলে। কিন্তু সম্পাদকের সব ধরনের রসবোধ, মুল্যবোধ থাকা উচিত। বহুবিষয়ে চর্চা থাকা দরকার।
নাহলে সে ভালো সম্পাদনা করতে পারবেনা।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
ধর তুমি এক ধরণের
লেখা ভালোবাসো
আর একজন লেখক
অন্য ধরণের
সেই লেখাটা তোমার
ভালো লাগল না
হতে পারে স্টাইলের
জন্য।
অংশুমানঃ
লেখার কোনো ধরণের
উপর পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত বলে তো আমি মনে করিনা। কোনো একটা লেখা ভালো না খারাপ
বিচার করার অনেক মাপকাঠি আছে। সেগুলোও আবার মানুষ স্পেসিফিক ও আপাত। চরম নয়।
দীর্ঘদিন পড়শোনা
করলে ও চর্চা করলে একটা সাহিত্য মান সম্পর্কে ধারণা আসে।
সেটার কোনো পরিষ্কার
বাউন্ডারি নেই।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা ধর তোমার
পরিচিত কেউ লেখা পাঠালো বলল ছেপে দিতে
না ছাপলে সম্পর্ক
নষ্ট হতে পারে কি করবে ?
অংশুমানঃ
ছাপবোনা। সম্পর্ক
নষ্ট হোক। তাহলে ওটা ঐরকমই সম্পর্ক, নষ্ট হবার যোগ্য। ভালো খারাপ বলার অধিকার সবার আছে। তাছাড়া পত্রিকার প্রতি
দায়িত্বের সাথে সাথে সাহিত্যের উৎকর্ষের দিকটাও দেখতে হবে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আসছে ইস্যু কি নিয়ে ?
অংশুমানঃ
দলছুটের আগামী
সংখ্যার বিষয় লিটল ম্যাগাজিন।
লিটল ম্যাগাজিনের
ইতিহাস, তার বেড়ে ওঠা,
পরিপ্রেক্ষি, আন্দোলন, ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদান। এগুলো তুলে ধরতে চাই। তাছাড়া ব্যাক্তিগত ভাবে লিটল
ম্যাগাজিনের প্রতি কারোর কারোর দৃষ্টিভঙ্গির কথাও থাকবে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
লিটিল ম্যাগাজিন-এর
ক্ষেত্রে সম্পাদক কেই অনেকটা মার্কেটিং টাও দেখতে হয়
লিটিল ম্যাগাজিনের
এই দিকটা নিয়ে যদি কিছু বল?
অংশুমানঃ
লিটল ম্যাগাজিন এমন
অনেকে করে যাদের দলে একটা কি দুটো লোক। কিছু একটা তাগিদ নিয়ে ম্যাগাজিন করে চলেছে।
আসলে লোকজনের কাছে পৌঁছতে চায় তারা। এই যে পৌঁছতে চাওয়া এটার জন্য যে কৌশল অবলম্বন
করতে হয় সেটাই মার্কেটিং। একটা পত্রিকা সাধারনত সম্পাদকের দৃষ্টিভঙ্গি তাই নিজেই
সেই দায়িত্ব টা নিতে হয়। সম্পাদক মন্ডলী থাকলে এই ব্যাপারে বেশি সুবিধা। আসলে
কথাটা ব্যাবসা নয়। ভালো কাজ করতে থাকলে এমনিই সবাই কিনবে যারা ভালো কাজের কদর
জানে।
অংশুমানঃ
আমরা পুশ সেল এর
বিরোধী।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
হ্যাঁ কিন্তু মানুষ
কে তো জানাতে হবে যে একটা ভালো কাজ হচ্ছে।
এটা জানাতে গেলে তো
মার্কেটিং দরকার
অংশুমানঃ
মার্কেটিং না খবরের
কাগজ বা মিডিয়ায় রিভিউটা খুব জরুরী এই ক্ষেত্রে। এই আগের সংখ্যায় ভাস্কর চক্রবর্তী
সংখ্যা প্রকাশ করলাম। কতজন কে আর মুখে মুখে বলতে গেছি আর কোথায় বা অ্যাড দিলাম।
তাও তো কতলোকে বলছে তোমাদের পত্রিকা পড়লাম ভালো কাজ হয়েছে। একদিন বইমেলায় দেখলাম
প্রতিবিম্বের ৬-৭ বছর আগেকার সংখ্যা কিনতে এসেছেন এক ভদ্রলোক সুদূর বীরভূম থেকে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা
অংশুমানঃ
কাজে গুণ থাকলে দাম
পাবে। এটুকু আশাবাদী হওয়াই ভালো্
আর না হলে না পাবে।
এটা তো আমাদের যাপন।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা অনলাইনেও তো
দলছুট বেরচ্ছে। শুরু হয়েছিলও অনলাইন থেকেই। অনলাইন সাহিতের ভবিষ্যৎ কি ?
অংশুমানঃ
কলেজস্ট্রীট না
গিয়েও কবিতা গল্প প্রবন্ধ সব হাতের মুঠোয় আর কি চাই! আমেরিকায়, জার্মানীতে, কানাডায় বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলা সাহিত্য
করা যাচ্ছে, সব বাঙালী পড়ছে আর
কি চাই। একটা আন্তর্জাতিক মেলবন্ধন তৈরী হচ্ছে, সবার কাছে পৌছে যাচ্ছে বাড়িতে বসে আর কি চাই!
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
কি চাই ঠিক বলতে
চাইছি না। বলতে চাইছি কি পাচ্ছি ?
অংশুমানঃ
খুললে ফেসবুক,
স্টাটাসে বোর হয়ে গেলে,
কি কাজ করতে করতে ক্লান্ত
একটা সাইট খুলে পড়ে নিলে। ইন্সট্যান্ট সাহিত্য পাচ্ছি। হোম ডেলিভারী।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা এবার তোমার
লেখালিখি তে আসি
লেখা শুরু করেছ
কতদিন ?
অংশুমানঃ
তাছাড়া অনলাইন
ম্যাগাজিনে তুমি, হাই রেসোল্যুশন ছবি,
শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি রাখচে
পারছো। এমনকি চাইলে নতুন মিউজিক ক্মপোজার দের কম্পোজিশন ও রাখতে পারো। আরো সমৃদ্ধ
হবে।
ভেবেচিন্তে লেখা
শুরু করেছি শূন্য দশকের শেষ অর্ধে। তার আগে বোকার মতো লিখতাম।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
বোকার মত আবার কি ?
সৃষ্টিতে কারোর
বোকামি ধরে পড়ে নাকি !
অংশুমানঃ
মানে নিজের মনে যা
খুশি। না না সে বোকামির কথা বলছিনা।
সেইসব সৃষ্টি নিয়ে
বিচার বা তুলনা করতাম না।
আর ছাপতামও না।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা
কবে মনে হল না এবার
একটু হচ্ছে ব্যাপারটা
অংশুমানঃ
যেদিন দেখলাম
অনুভুতি নিয়ে খেলা করতে পারছি, সেগুলো নানা ভাবে প্রকাশ করতে পারছি, কবিতার থীম অনুযায়ী ভাষা বা শব্দ ব্যাবহার করতে পারছি সেদিন দেখলাম লেখাগুলো
পত্রিকায় ছাপা লেখাগুলোর কাছাকাছি চলে আসছে, একটা তীব্রতা আসছে মনে হতে লাগলো এবার হয়তো হচ্ছে।
প্রথম স্টেপ এগোলাম
আর সাহস ও ইচ্ছে
দুটোই বেড়ে গেল।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা। তোমার সাথে
আমার একবার তিন বছর আগে বই মেলার শেষ দিন বেরনোর সময় কথা হয়েছিল। আমি প্রশ্ন
করেছিলাম - তুমি অন্য কবির লেখা পড় না। তুমি 'না' বলেছিলে। বলেছিলে পড়লে নিজের কবিতায় তার প্রভাব পড়ে। এখনো কি তাই ?
অংশুমানঃ
অনুশীলন, অনুকরণ ও নতুন সৃষ্টি ও পরীক্ষমূলক অ্যাপ্রোচ। এটাই
আমার শেখার পদ্ধতি বলতে পারো।
হ্যাঁ বলেছিলাম,
যখন লিখতে চাই তখন পড়িনা।
এখনো ঐ চাপ হয়। করোর লেখা পড়তে লাগলে লেখাতে তার মতো হাব ভাব চলে আসে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা তাহালে
সাহিত্যিক আর পাঠক সচেতন ভাবে এই দুই জন কে আলাদা ঘরে রাখ ?
অংশুমানঃ
যদিও ধীরে ধীরে এটা
কাটছে। এখন নিজের ভাষাকে আয়ত্বে আনতে পারছি।
না না ভালো পাঠক
সাহিত্যের সব জানে। শুধু নতুন সৃষ্টির কারিগরীটা ছাড়া।
যেটা অনুশীলন করলে
চলেও আসতে পারে।
একটা কথা আছে,
কিছু সত্যি উপভোগ করতে পারা
মানে আসলে এইটা জানতে পারা যে ওটা কি করে করতে হয়।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা
লিখতে গিয়ে কখনো মনে
হয়েছে একটা নতুন কিছু করব
নতুন কিছু
অংশুমানঃ
আমাদের মধ্যবিত্ত
জীবন, সবার গড়ে ঘুরেফিরে
জীবনের প্রায় একই ঘটনা। তাই নতুন রসদের জোগাড় খুব কঠিন। শুধু যেটা করা যায় জীবন কে
দেখার আমাদের নতুন নতু ভঙ্গিমা আছে সেগুলো নিজের মতো করে প্রকাশ করা যায়, যেভাবে আগে কেউ করেনি। কারোর মনের না ছোঁয়া
জায়াগাটাকে ছুঁতে পারাতেই সাফল্য। অথবা নতুন ভাবে ছুঁতে পারাটা। এর জন্য চাই
পরীক্ষামূলক অ্যাপ্রোচ। আশেপাশে সবার মনগুলো এমনই যে আঙুল বুলালে আর সুড়সুড়ি
লাগেনা। নখ ইউজ করতে করতে হয়। প্রয়োজনে সূঁচ ফোটালেও অনেকে উপভোগ করতে পারে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
তোমার নিজের লেখা
একটা কবিতা শোনাও
দু এক লাইন হলেও হবে
অংশুমানঃ
তোমার মাথায় যদি
কম্পাস না থাকে
আমার দিকে এসো না।
ঠিক দিকে আসার
সম্ভাবনা শূন্য কারণ,
.........................দিক অসংখ্য।
অংশুমানঃ
এখন লিখলাম।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
কাকে উদ্দেশ্য করে ?
অংশুমানঃ
যে আমার দিকে আসতে
চাইছে তাকে উদ্দেশ্য করে অবশ্যই।
বা ভদিষ্যতে চাইবে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আচ্ছা! তুমি মানে
এখানে শরীর ?
অংশুমানঃ
না শরীর ও মন দুটো
একসাথে।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
মন টা কেমন একটা
রাবীন্দ্রিক শব্দ হয়ে গেলো না ?
অংশুমানঃ
তাছাড়া এর কোনো
প্রতিশব্দ আপাতত নেই। কখনো সখনো অপশনের অভাবে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হয়। মন কথাটার
প্রাচীনত্ব নিয়ে ভেবোনা আপাতত ওর মানেটাই ধর।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
আসলে শরীরতত্ত্ব বার
বারই সাহিত্যের অঙ্গ হয়ে এসেছে
তাই জিজ্ঞাসা
অংশুমানঃ
সে তো হবেই। শরীর
বিষয়টাই ওরকম। সবার হেবি লোভ। লিখলেও আনন্দ, পড়লেও।
মৃগাঙ্কশেখর
গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
মানে বলতে চাইছো
বাণিজ্যিক দিক ?
অংশুমানঃ
আর শরীর মানেই কাম
নয়। শরীরের ব্যথা, তন্দুরুস্তি,
সুখ, আরাম, রোগ এগুলো খুবই গভীর প্রকাশের বিষয়। চাইলে বাণিজ্য করা যায়। তবে সব ক্ষেত্রে
বানিজ্য নয় ব্যাপারটা।
এমনকি মৃত্যু কথাটাও
অসম্ভব শারীরিক।