68Th pOsT : কথা বলছেন মৃগাংক শেখর গাঙ্গুলি ও কিরীটি সেনগুপ্ত


প্রথম আলাপ ফেসবুকে। মাঝে মধ্যে দু-চার বার কথাও হয়েছে। হামেশাই নিজের লেখা কবিতা শেয়ার করেন। কয়েকটা পড়েছি। কবিতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে দলছুটওয়েব সংখ্যায় একটা নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন। বাক-৬৭ পোস্টে ওনার লেখা কবিতাও পড়লাম। সাহিত্য সার্কিটে খুব পরিচিত নন বলেই মনে হয়। কিরীটি সেনগুপ্ত। পেশায় চিকিৎসক এবং সরকারী চাকুরে। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, “ব্যাকুল শব্দ কিছুআজ ওনার সঙ্গে আলাপচারিতা:


মৃগাঙ্ক: সাহিত্যের কোন কোন দিকগুলো নিয়ে এখন অবধি কাজ করেছ ?

কিরীটি: মূলত কবিতা, আধ্যাত্মিক সাহিত্য এবং অনুবাদ, কবিতা বিষয়ক আলোচনাও করেছি

মৃগাঙ্ক: আধ্যাত্মিক সাহিত্য?

http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gifকিরীটি: হ্যাঁ, আধ্যাত্মিক বিষয়ে রচনা, কবিতা এবং অনুবাদবাংলা ইংরাজি, এই দুটো ভাষায়দীর্ঘ সময় পেশাগত পরিধিতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিকতাও তো সাহিত্য চর্চার অঙ্গ

মৃগাঙ্ক: দেখো আমি আধ্যাত্মিক রচনা মানে ছোট বেলা থেকে যা পড়ে এসেছি ঠাকুর মা স্বামীজীর বই তার সাথে গীতা উপনিষদের শ্লোক। আমার মোটেই ভালো লাগত না। খুব কঠিন থাকতো ব্যাপারটা

http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gifকিরীটি: কবিতার সরলীকরণ হয় ? যারা কবিতা ভালোবাসেন না তাদেরকে কবিতা পড়তে দিলে কি রিঅ্যাকশন্ হবে ? গীতার কথা যখন তুললেই, বলে রাখি, গীতা নিয়েও আমাদের একটি যুগ্ম কবিতা আছেশুনবে ?

http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gifমৃগাঙ্ক: হ্যাঁ বলো

কিরীটি: বেশ, তবে শোনোলিখেছি আমরা দু'জনআমি আর প্রবীর রায়কবিতাটির শিরোনাম : সঙ্গীত ৬৯৯

নক্ষত্র-পতন সম নিশ্চল চাকা
অপেক্ষায় রথ রথী, দুই
অপ্রত্যাশিতের পথে
সঙ্গীতের আরম্ভ যখন
দাঁড়িয়ে যাত্রা, কালের চাকা।

একের আরম্ভে মূর্ত সঙ্গীত
বাদক বহু তবু নির্বাচিত এক;
সত্ত্বায় মিশেছে তান বহু
নির্বাচিত সঙ্গীত, শেষ এক।

দ্বিধার বৃত্তে আরম্ভের যাত্রা;
আচ্ছন্ন সংশয়ে শেষের সঙ্গীত
উন্মোচিত আবরণে মুক্ত ঝংকার
অপরিচিতের আলাপ ভৈরবী।

শ্বাসের মিলন প্রবাহে, ত্রিভঙ্গ
ষড়মাত্রা মুরলী ধ্বনি
পাঞ্চজন্য আরম্ভ সংবাদে
প্রস্তুত সরথ, রথী সঙ্গীত।

সঙ্গমের প্রহর গোনা দেহে
কুরুক্ষেত্রের দুন্দুভি বাজে
আমরণ মরণের ওপারে
অপেক্ষায় রথ রথী, দুই।



মৃগাঙ্ক: এই কবিতা সম্পর্কে কিছু বল। কেন লিখলে। লেখার সময়ের অনুভূতি। পরের অনুভূতি

কিরীটি: কাউকে কিচ্ছু না বলে সোজা নবদ্বীপ চলে গেছি না, তীর্থ করতে গেছি এমন ভেবো না কিন্তু শুধু জানতো প্রবীর ওর বাড়ি ওখানেইসারাটা দিন হোটেলের ঘরে কাটানোহঠাৎ একটা চিন্তা কাজ করে গেলআমরা হামেশাই বিদেশী সাহিত্যিক, কবি দের লেখায় প্রভাবিত হই। কবে কোথায় Language Poetry নিয়ে আন্দোলন হয়েছে সেই খবর রাখি সাহিত্য চর্চার নামে আবেগহীন বার্তালাপও বাদ যায় না তাহলে, পুরো পৃথিবীর আধ্যাত্মিক রাজধানী এই ভারতে যে মণি মুক্তো ছড়িয়ে আছে সেগুলো নজরের বাইরে রাখব কেন ? তোমাকেই জিজ্ঞাসা করি, তোমার কি ধারণা বলো

মৃগাঙ্ক: আমার ধারণা অনেকটা জিরাফের মতো কিন্তু তার আগে আমার কটা জিনিস জানতে ইচ্ছে করছে। প্রথম হল। দুজনে মিলে কবিতা কি করে হল। এই জিনিস টা বেশ আগ্রহের

কিরীটি: একই বিষয়ে দু'জন দু'রকম ভাবে ভাববে, এটাই স্বাভাবিক
কিন্তু সচেষ্ট হলে দু'জনের চিন্তা ভাবনাও একই সরল রেখায় চলতে পারে যুগ্ম কবিতা রচনা আগেও হয়েছেআমরাই প্রথম নই, মৃগাঙ্ক

মৃগাঙ্ক: একটু বিস্তৃত ভাবে বল এটা নিয়ে

কিরীটি: বুঝলে মৃগাঙ্ক, আমরা আমাদের ঘরের খবর রাখি না, অন্যের ঘর আমাদের বড় প্রিয়আসল কথায় আসি মূল গীতায় সর্বমোট ৬৯৯টি শ্লোক আছে। আমরা জানি 'জন ? জানতে চায় 'জন ? জানাতে চায় 'জন ? আজকাল, তুমি নিশ্চয়ই জানো বড় বড় কর্পোরেট সেক্টরে স্ট্রেস লেভেল কমাতে অনেক বাবা -মা'কে প্রবচন দেওয়ার জন্যে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয় অমুক স্বামী, তমুক মা ...
তাঁরা মূলত গীতা-ভাষ্য দেনআর কি নেই এই গীতায় ? এটা তো শুধু হিন্দুদের নয় মুসলমান, খ্রীষ্ঠান ...সকল সম্প্রদায়ের কাছে অতি মূল্যবানসনাতন ধর্মর সর্বশেষ শাস্ত্র হলো গীতাতুমি গীতা পড়েছ, মৃগাঙ্ক ?

মৃগাঙ্ক: যে বললাম স্কুলে পড়ার সময়। পরে পড়েছি। তবে ভালো করে পড়া হয় নি। আমার কাছে কবিতা গীতা। এখন অব্ধি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর এটা নয়। গীতা থেকে কবিতা কেন? সেটা কি মানুষের কাছে গীতা প্রচারের জন্য। না নিজের ভেতর থেকে আসা ?

কিরীটি: নয় কেন ? দুটোই প্রযোজ্য কবি তো সমাজবদ্ধতারও দায় আছেধর্মের নামে যে ভণ্ডামি সেটার বিরুদ্ধে গীতাই সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার কোন গোঁড়ামি নেইগীতায় শ্রী ভগবানের কথা লেখা আছে শ্রীকৃষ্ণের নয়কখনো ভেবে দেখেছো, এই ব্যাপারটা ? কোথ্থাও লেখা নেই, "শ্রীকৃষ্ণ উবাচ", আছে, "শ্রী ভগবান উবাচ"খোঁজ নিয়ে দেখো, সারা পৃথিবী জুড়ে জীবন শৈলীর নতুন প্রবাহ চলছেবলা হয়, হোলিস্টিক লিভিং (Holistic living)তারও মূলে সনাতন ধর্মীয় শিক্ষা, ভাবনা এবং আবশ্যিক ভাবে গীতা এবার বলো, কেন তাহলে গীতা কেন্দ্রিক কবিতা লেখা হবে না ? রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ... ওনাদের আধ্যাত্মিক জীবনের খোঁজ নিয়েছ, মৃগাঙ্ক ? নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে, ভাই
দুর্ভাগ্য, আমরা আজ যারা কবিতা চর্চা করি, তাদের মধ্যে এই সচেতনতা বড় একটা দেখিনা, আগ্রহের অভাবও লক্ষণীয় কবি শঙ্খ ঘোষের একটা কবিতা শুনবে ? দুটো লাইন শোনাই, “ছড়িয়ে দেব দু-হাতে তার প্রাণাঞ্জলি বসুন্ধরা,
যেটুকু পাই প্রাণের দিশা নিজে শঙ্খ বাবু লিখছেন,
চুপ করো, শব্দহীন হও
মৃগাঙ্ক, এই শব্দহীন হয়ে থাকাটা খুব সহজ মনে হয় তোমার ? মৌন থেকেই তো মুনি এলেন মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটা মৌনতা নয় ভাইমৌনতা একটি অর্জিত বিদ্যা যা শাস্ত্র নির্ভর, গীতা নির্ভরতুমি শ্বাস নিচ্ছ আর তাই বেঁচে আছ, তাই তো ? এই শ্বাস নিয়ন্ত্রণ আমাদের শেখায় কে ? শাস্ত্র - এবং অবশ্যই গীতাএবার বলো, এমন অমোঘ বার্তা ছাড়া এক পাও হাঁটতে পারবে মনে হয় ?

মৃগাঙ্ক: আচ্ছা। এবার একটু প্রসঙ্গ বদলাই। লেখালিখি শুরু কবে থেকে ?

কিরীটি: আর একটা কথা বলে নিই ?

মৃগাঙ্ক: হ্যাঁ

কিরীটি: বাঙালীদের মধ্যে অমবুবচী প্রথার নাম শুনেছো ? এই তো 'দিন আগে এই প্রথার বিরুদ্ধে নিজের মতো করে একটা কবিতা লিখলাম, শুনবে ?

মৃগাঙ্ক: নাম শুনেছি তার বেশি কিছু জানি না

http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gif 
কিরীটি: দ্যাখো মৃগাঙ্ক, বলা হয়ে থাকে এই সময়ে প্রকৃতি রজঃস্বলা হন যে কারণে বাংলার বেশীর ভাগ দেবী মন্দির এই সময়ে বন্ধ থাকে
এটা যদি শাস্ত্রসম্মত হয়, তবে পশ্চিমবঙ্গ অসমের বাইরে এই আচার পালিত হয়না কেন ? শাস্ত্র সব জায়গাতে একইভাবে বলবৎ থাকবে, তাই না ? আমি লিখলাম, "ঘোমটা", শোন,

দরজা খোলার আগেই ভেতরে শাঁখ বাজল। আজ এই চত্বরে পুরুষ অনেক। জল দিয়ে গেল ওরা দুজন
দেখলাম প্রায় পাঁচদিন পর। সদ্য স্নান সেরে লাল বেনারসি আর কৌটো ভাঙ্গা নতুন সিঁদুর। আজ কতো ঢলঢল
এবার গৌহাটি টিকিট ছিল না। মেসেজ ছিল, নো রুম

কি বুঝলে, ভাই ?

http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gif 
মৃগাঙ্ক: আসলে আমি আচার নিয়ে অতো মাথা ঘামাই নাকিন্তু ঈশ্বর নিয়ে ভাবিএই কবিতা আমাকে ছোঁয় নি। বলা ভালো আমি পৌঁছতে পারি নি। যেহেতু এই বিষয়ে আমি তেমন ওয়াকিবহাল নয়আমার কাছে এখন অব্ধি প্রিয় লেখা দুটিএকটি সরাসরি ঈশ্বর কে নিয়ে
আর একটি নয়প্রথমটি রিল্কেরযার বাংলা করলে দাঁড়ায়:
আমার বয়স বাড়ছে কিন্তু তোমার বয়স স্থির
তাই তুমি আমার পিতা নও সন্তান
আর একটা শঙ্খ ঘোষের:
পা ছুঁইয়ে রোজ প্রণাম করি সে কি কেবল দিন যাপনের নিশান
আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম। নির্জীব পা সরিয়ে নাও কিনা

কিরীটি: আর কি জানতে চাও

মৃগাঙ্ক: লেখালিখি শুরু কবে থেকে ?

কিরীটি: সাংবাদিক জীবন শুরু ১৯৯৭ সাল থেকেমৃৎশিল্প নিয়ে আমার প্রথম আর্টিকেলউত্তরবঙ্গ সংবাদেতখন আমি শিলিগুড়িতেতারপর এক এক করে বিভিন্ন পত্রিকায়দৈনিক বসুমতীসেই সময়ে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচুর লেখার সমালোচক হিসেবে লিখেছি The Telegraph পত্রিকায় সেই সময় প্রতি সোমবার KnowHOW নামে একটি বিশেষ বিজ্ঞান বিভাগ থাকত। সেখানকার review বিভাগটির নাম ছিল, Third Lawপ্রায় বছর দুয়েক বেশ সক্রিয় ভাবে লিখতাম ওখানে আধ্যাত্মিক সাহিত্য নিয়ে বিশদ পড়াশুনো ২০০৬ থেকে
প্রথম প্রকাশিত আধ্যাত্মিক প্রবন্ধ আমেরিকার প্রসিদ্ধ আধ্যাত্মিক পত্রিকা, The Cross and Lotus তোমার পরবর্তী প্রশ্ন , ভাই

মৃগাঙ্ক: কি দরকার ছিল লেখালিখির ?

কিরীটি: আমার একটা extension বলতে পার, আমার লেখাগুলো
an extension of my inner selfঠিক এভাবেই বলতে চাই

মৃগাঙ্ক:  তোমার কি মনে হয় তোমার লেখার পাঠক আছে ?

কিরীটি: সেই সমীক্ষার কাজ অন্যেরআমার নয়একটা প্রবাদ আছে জানো ?
যার কাজ তারই সাজে
অন্য লোকের লাঠি বাজে

মৃগাঙ্ক: ধর তোমার লেখা কোন ম্যাগাজিন ছাপালো না তুমি কি ভাবে তখন পাঠকের কাছে নিজেকে পৌঁছবে? ভেবেছো কিছু ?

কিরীটি: খারাপ লাগবে নিশ্চয়ই

মৃগাঙ্ক: কেন খারাপ লাগবে কেন? তুমি তো তোমার নিজের ভেতর থেকে লেখো ? তোমার কাজ তো লেখা তারপর সেটা কেউ ছাপল কি ছাপল না। তাতে তোমার কি এসে যায় ?

কিরীটি: যায় - প্রায় প্রতিটি লেখায় কিছু বলি আমিবলে আমার inner self

মৃগাঙ্ক: সেটা পত্রিকায় না ছাপলে কষ্ট কিসের? তুমি তো আর পত্রিকায় ছাপবে বলে লেখ না

কিরীটি: An extension of my inner self আর শুধু নিজের জন্যে লেখা... দুটো কি এক ?

মৃগাঙ্ক: না, আমার প্রশ্নটা তুমি কেন লেখ ? পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ? এই Extension of inner life কি আশা করে ?

কিরীটি: প্রথমত, ভালো লাগে তাইদ্বিতীয়ত আমার প্রতিটি লেখায় যে বার্তাটি থাকে সেটা পৌঁছে দেওয়া

মৃগাঙ্ক: তার মানে তোমার মনে হয় তোমার প্রতিটি লেখায় কিছু বার্তা থাকে ?

কিরীটি: মনে পড়ছে কি তোমার, আমার সঙ্গে তোমার একবার কথা হয়েছিলকবী শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে একটা রচনা তোমাকে পড়িয়েছিলাম মনে পড়ছে নিশ্চয়ই ?

মৃগাঙ্ক: হ্যাঁ, সেটা মনে আছে

কিরীটি: আজকাল কবি লেখা হয়, বলতে চাইছি বানানের ব্যাপারেতুমি পড়া মাত্র বলেছিলে, কিরীটি দা, কবী বানান ভুল...বলেছিলাম, কবী বানানটিও সঠিক এবং এই কবীর একটা আলাদা তাৎপর্য আছে
খুব ছোট্ট করে আমি প্রতিটি লেখাতেই কিছু বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি, ভাই

মৃগাঙ্ক: বুঝলাম না এর মানে কি ? আমি যা জানতে চাইলাম তার সাথে এর কি সম্পর্ক?

কিরীটি: সম্পর্ক খুব সহজ সরলআমি শঙ্খ বাবুকে কবি বলতে নারাজউনি কবী শঙ্খ ঘোষআমরা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা আলোচনা করছিলাম, তাই তো ? আর সেক্ষেত্রে লেখাটা প্রকাশিত হওয়াটা জরুরী বলেই মনে করি

মৃগাঙ্ক: তোমার মনে হয় তোমার প্রতিটি লেখায় কিছু বার্তা থাকে

কিরীটি: ১০০% - প্রতিটি লেখায়

মৃগাঙ্ক: কবিতার ক্ষেত্রেও ?

কিরীটি: নিশ্চয়ই

http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gif 
মৃগাঙ্ক: কিন্তু তোমার কিছু কবিতায় উপস্থাপনা কি সবার কাছে পৌঁছনোর মতো থাকে ?

কিরীটি: থাকেনা, রাখতে পারিনি, সকলে আজ নতুন কবিতা ভাষা খোঁজেন, ভাইআজ স্বরবৃত্তে লেখা কবিতা তেমন সমাদৃত হয় না কেন ?

মৃগাঙ্ক: প্রিয় কবিতা না কবি ?

কিরীটি: কবিতার মাধ্যমেই কবি প্রিয় হনকবিতার মধ্যে নিজেকে connect করতে পারা চাইতবেই না সম্পর্ক গড়ে উঠবে

মৃগাঙ্ক: প্রিয় কবিতা ?
কিরীটি: 'টা বলব ?

মৃগাঙ্ক: একটাই বল, এই মুহূর্তে সবার আগে যেটা মনে এলো

কিরীটি: কবী শঙ্খ ঘোষ-এর "মাতাল"

মৃগাঙ্ক: কেন প্রিয় এই কবিতা ?

কিরীটি: মনে হয়েছে কেউ আমার কথাটাই বলে দিলেন
http://static.ak.fbcdn.net/rsrc.php/v2/y4/r/-PAXP-deijE.gif 
মৃগাঙ্ক: কবিতার কটা লাইন যদি একটু বলযেখান টা তোমাকে সব থেকে বেশি ছোঁয়

কিরীটি: এখনও যে যুবক আছে প্রভু! এবার তবে প্রৌঢ় করে দাও- নইলে বিশ্বসংসার সহজে ওকে বইতে পারবে নালিখছেন, "“আরো একটু মাতাল করে দাও উফ, এখনো গায়ে কাঁটা দেয় এমন লেখাএবার আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করি, কেমন ? হঠাৎ আমার ইন্টারভিউ কেন ? আমার লেখায় কি পেয়েছো এমন ?

মৃগাঙ্ক: এই প্রশ্নটার উত্তর আমি আমার শেষ ইন্টারভিউ তে দেব